আপনি কি যীশু খ্রীষ্টকে আপনার ব্যক্তিগত ত্রাণকর্তা রুপে গ্রহণ করেছেন? যদি করে থাকেন তবে আপনার জীবনে নিশ্চয়ই অনেক পরিবর্তন এসেছে। এদের একটি সম্ভবত: অন্যদের প্রতি আপনার মনোভাবের পরিবর্তন। আমরা সবাই একই সমাজের, এবং এই কোর্সের ১৫৮ পৃষ্ঠায় ডোনাল্ড স্টাকলেস আমাদের শিক্ষা দেন যে সমাজ হল একাধিক লোক যেখানে কিনা আমরা বসবাস করছি। এটা হচ্ছে একটি আত্মা, বা মনের প্রকৃতি যা একে অন্যদের এবং ঈশ্বর চান যেন আমরা সঠিকভাবে তাঁর গুরুত্ব সুস্পষ্টভাবে অনদের সাথে ....
এই পাঠে আমরা সমাজের পটভূমি এবং এর বাইবেল গত ভিত্তি অধ্যয়ন করব। সামাজিক মনোভাবের মূলনীতিগুলো ছিল যীশু-খ্রীষ্টের। তিনি আমাদের একে অন্যকে ভালবাসতে ও একে অন্যের যত্ন নিতে বলেছেন।
এই পাঠে আপনাকে সমাজের মূল ধারণাটি বুঝতে সাহায্য করবে। খ্রীষ্টান সমাজের অংম হতে পারাটা যে কত সুন্দর তখন আপনি আরও পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন।
১ম পাঠে আমরা সামাজিক মনোভাব সম্বন্ধে পাঠ করেছি। এই পাঠে আপনি দেখতে পাবেন যে, সমাজ এমন একটা স্থান বিশেষ যেখানে আপনি এই মনোভাব দেখাতে পারেন। কিন্তু পাঠ করবার সময় মনে রাখবেন যে, সমাজ একটা স্থানের চেয়ে বড়, তা হল একদল লোকের সমষ্টি। আপনি যেখানেই যান না কেন সেটা কোন ব্যাপার নয়, অন্যদের কাছে যীশু খ্রীষ্টের কথা বলবার মাধ্যমে আপনি একটা সমাজের অংশ হতে পারেন।
কিভাবে আত্মিক জীবনে পূর্ণতা লাভ করা যায়, এই পাঠে আপনি তা পাঠ করবেন। অনেক লোক অনেক বছর পার হয়ে যাওয়ার পর আজও শিশু খ্রীষ্টিয়ান রয়ে গেছেন। এটা কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছা নয়। ঈশ্বর চান যে, আমরা পূর্ণতা প্রাপ্ত হই। তিনি চান, “আমরা আত্মিক জীবনে বেড়ে উঠি খ্রীষ্টের পূর্ণতার আকারের পরিমাণ পর্যন্ত” (ইফিষীয় ৪:১৩)পৌছি। তাহলে আমরা সমাজে অন্যদের সাথে বেড়ে উঠতে পারব।
আপনার হয়ত এই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। কোন দোকানদার ভুল করে বেশী পয়সা ফেরত দিলে আপনি যখন তা ফিরিয়ে দিয়েছেন তখন সে কি অবাক হয়েছে? অথবা অন্য কোন পথে আপনি উঁচু খ্রীষ্টিয় আদর্শ দেখিয়েছেন? এটা প্রকৃত সামাজিক মনোভাবের একটা উদাহরণ। এখানে আপনি সততার পক্ষে দাড়িয়েছেন।
দাঁড়ানো বা দন্ডায়মান হওয়ার মান কি এই পাঠে আমরা তাই দেখব। আমরা যখন যা-ই ঘটুক না কেন, তার তোয়াক্কা না করে সর্বদা ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াই তখন আমরা সমাজে দন্ডায়মান হই।
দু’জন লোক মাটি খনন করছিল। তৃতীয় একজন লোক তাদের পাশ দিয়ে যেতে যেতে একজনকে প্রশ্ন করল: শাবল দিয়ে আপনি কি করছেন জানতি পরি কি?” “আরে দেখছেন না, আমি একটা পরিখা খনন করছি।” “আর আপনি কি করছেন জানতে পারি?” “বেশ আমি একটা সুন্দর স্কুল নির্মাণ করছি।”
আপনি কোন ব্যক্তিকে পছন্দ করেন, প্রথম জন বা দ্বিতীয়জন? আপনি কি সুন্দর একটা দালান দেখতে পান, না শুধু মাটি খননই দেখতে পান? কোন ভিত্তির উপর আমাদের নির্মাণ করতে হবে আর কিভাবেই বা নির্মাণ করতে হবে এই পাঠে আমরা তা খেয়াল করব।
সব সময় যীশুর সাথে কথা বলে এইরুপ একজন হিসেবে পরিচয় লাভ করা এক অতি সুন্দর বিষয়। এটা খুবই পরিষ্কার যে, সে সব বিষয় বা জিনিস আমাদের হৃদয়ের সবচেয়ে কাছে সেগুলির সম্বন্ধেই আমরা বেশী কথা বলে থাকি।
এই পাঠে আপনি যীশুর শৈশব, পরিচর্যা, জীবন পৃথিবীতে থাকাকালীন সময়ে তাঁর প্রভাব এবং এখনকার জগতে তাঁর প্রভাব ইত্যাদি বিষয় অধ্যয়ন করবেন।
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই রেডক্রস সোসাইটি কাজ করছে। বিভিন্ন দান বা উপহারের সাহায্যে রেডক্রস তাদের এইসব কাজ করে থাকে। লোকেরা কিছু পাবার আশায় দান করে না। জরুরী অবস্থায় ও কষ্টের সময় অন্য লোকদের সাহায্য করতে চায় বলেই তারা দান করে।
আমাদের সমাজে দান করবার ক্ষেত্রেও একই কথা। সমাজের প্রয়োজনে আমরা আমাদের সময়, টাকা-পয়সা এবং প্রতিভা দান করে থাকি, কারণ তা করা ন্যায়সঙ্গত ও ভাল। ভালভাবে সমাজের সেবা করবার জন্য আমরা কিভাবে নিজেদের প্রস্তুত করে তুলতে পারি এই পাঠে আমরা তা দেখতে পাব।
এই বইয়ে আপনি যে নীতিগুলি শিক্ষা পেয়েছেন সেগুলি যাতে জীবনে ব্যবহার করে যেতে পারেন সেই জন্য এই পাঠে আপনি কয়েকটি উপায় অধ্যয়ন করবেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়টি হচ্ছে পবিত্র আত্মার উপর নির্ভর করা। সাধু পৌল তীমথিয়কে লিখছেন, “তুমি যা শিখেছ........... তাতে স্থির থাক” (২তীমথিয় ৩:১৪)। পবিত্র আত্মা আপনাকে সামাজিক সহভাগিতায় স্থির থাকতে সাহায্য করবেন।