খ্রীষ্টিয়ান বলে আমরা যে সব কাজ করতে পারি না অনেক সময় আমাদের মনে সেগুলি করবার চিন্তা আসে। কিন্তু ধার্মিক জীবন যাপনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে যীশু বলেছেন, “আমি পবিত্র বলে তোমরাও পবিত্র হও” এই কোর্সের ২৩৯ পৃষ্ঠা সম্বলিত জন এবং সারা মাইলস তারা কিছু নিয়ম বিশ্লেষণ করেছেন যা কিনা বিশ্বাসীদেরকে স্বতস্ফূর্ত ভাবে ঈশ্বরের সেবা এবং তিনি যেমন পবিত্র বিশ্বাসীরা ও যেন সেরকম পবিত্র হতে পারেন।
আপনি একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, এটা আপনার জনা দরকার। তা আপনার অন্তরে একটা সহানুভূতি দেয় তাছাড়া আপনাকে বিভিন্ন কাজ করতে সাহায্য করে।
বাইবেলে গিদিয়োন নামে একজন লোকের গল্প আছে। সে নিজেকে অপ্রয়োজনীয় বলে চিন্তা করেছিল। শত্রুরা তার দেশ আক্রমণ করলে সে লুকিয়েছিল। গিদিয়োন যখন তার লোকদের সম্পর্কে সব আশা ছেড়ে দিয়েছে তখন ঈশ্বর তাকে উৎসাহ দেবার জন্য তার কাছে এক স্বর্গদূত পাঠিয়েছিলেন। স্বর্গদূত তাকে বললেন, “সাহসী ও শক্তিমান পুরুষ, ঈশ্বর তোমার সহবর্তী।”
অনেক দেশেই এই ধরণের একটা কথা আছে, “যেমন: বাপ তেমন ছেলে।” পরিবারে একটা মজার ব্যাপার হল এর সভ্যা-সভ্যদের মধ্যকার সাদৃশ্য।
এই পাঠে আমাদের মনে করিয়ে দেন যে একজন শিশু হিসেবে সে তার জগতের পিতাকে দেখে এবং সে যা করে সব সে নকল করতে চায়, আমাদেরকে অবশ্য সতর্ক হতে হবে আমাদের স্বর্গস্থ পিতা কি করেছেন আমরা যেন তাঁর মত হতে পারি।
আপনি কি সাইকেল চড়তে শিখেছেন? যদি তাই হয়, তবে আপনি জানেন যে চড়তে শিখবার সময় আপনাকে একই সময়ে অনেক কিছু মনে রাখতে ও করতে হয়েছিল। রাস্তার নিয়ম-কানুন মেনে ভারসাম্য বজায় রেখে সাইকেল চালাতে গিয়ে আপনাকে প্যাডেল চালাতে ও হাতলের সাহায্যে দিক ঠিক রাখতে হয়েছে। একজন অভিজ্ঞ সাইকেল চালক কোন রকম চিন্তা না করেই এগুলি করবেন, কিন্তু আপনি তা পারেন নি।
আপনার অভিজ্ঞ বন্ধু ঈশ্বর কিভাবে আপনাকে বলে কয়ে ও দেখিয়ে ক্রমেই তাঁর মত হতে সহায্য করতে পারেন এই পাঠে আপনি জানতে পারবেন।
যখন আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবো, আর সেজন্য ড্রাইভারদের যেসব সংকেত ও নিয়ম-কানুন জানা দরকার প্রথমে সে সম্পর্কে একটা পরীক্ষায় আমাদের অবশ্যই পাশ করতে হবে। “যান-বাহনের চলাচলের নিয়ম” কে সে দেশের বই বলা হয়।
সব মানুষের স্রস্টা ঈশ্বরের কতগুলি নিয়ম আছে। তাঁর সন্তানেরা তাঁর সমস্ত নিয়ম-কানুন জেনে সেগুলি পালন করে চলুক এবং তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে তাঁর নিয়ম-গুলি আমাদের জানিয়েছেন। যার কারণে ঈশ্বর তাঁর নিয়ম-কানুন মোশী এবং তাঁর পুত্র যীশু-খ্রীষ্টের দ্বারা প্রকাশ করেছিলেন।
বাইবেল যাদুবিদ্যার কোন উৎস নয় যা কিনা আমাদেরকে প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য হ্যাঁ বা না বলে থাকে। ঈশ্বর আমাদেরকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার দিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে তাঁর দাস হিসেবে নয় সন্তান হিসেবে আদেশ দিয়েছেন।
এই পাঠে আমরা বাইবেলের কিছু নীতিমালা সম্বন্ধে জানবো যা কিনা বাইবেলে দেখতে পাওয়া যায়। এই নীতিমালা আমাদেরকে প্রতিদিনের কঠিনতম সিদ্ধান্ত গ্রহণের হাত থেকে সাহায্য করবে।
মানুষ মনে করে কিভাবে নিজেদের জীবন চালাতে হতে তারা তা জানে। কিন্তু তারা তাদের মনের আবেগ এমন কি দেহের কাজ সম্পর্কিত সুষ্পষ্ট বিষয়গুলি বুঝতে পারে না। যিনি সব মানুষ সৃষ্টি করেছেন তিনিই এগুলি বুঝেন। কিভাবে উপযুক্ত পথে জীবন-যাপন করতে হবে সে বিষয়ে তিনি শিক্ষা ও উপদেশ দিয়েছেন। অনেক সময় লোকেরা মনে করে যে সৃষ্টিকর্তা অন্যায় অথবা অসম্ভব কথা বলেছেন। কিন্তু তবুও তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি কিসে তাদের সর্বাধিক মঙ্গল হবে তা
মন্ডলী হচ্ছে খ্রীষ্টের দেহ, স্বয়ং যীশুই এর মস্তক। খ্রীষ্টিয়ানরা এই দেহের বিভিন্ন অংগ-প্রতঙ্গ বা অংশ। ১করিন্থীয় ১২অধ্যায়ে প্রেরিত পৌল এই ধারণার কথা বলেছেন। তিনি এখানে দেখিয়েছেন যে প্রতিটি অংশই সমগ্র দেহের জন্য অপরিহার্য। প্রতিটি অংশ অন্য অংশগুলির জন্য চিন্তা করে, এবং সব অংশগুলি একত্রে কষ্ট বা আনন্দ ভোগ করে।
ঈশ্বরের পরিবার বা খ্রীষ্ট দেহের জন্য ভালবাসার আইনই সবচেয়ে দরকারী। সেবার ও ধনাধক্ষ্যতার নীতির মাধ্যমে ভালবাসার আইন কিভাবে মন্ডলীতে প্রযোজ্য হয় এই পাঠে আমরা তাই দেখব।
আপনি যদি কোন এক বন্ধুর কাছে এত বেশী টাকা ঋণী হতেন যা পরিশোধ করা আপনার পক্ষে সম্ভব নয়, তাহলে আপনি কি করতেন? আফ্রিকায় একটা সহজ রাস্তা ছিল। এক থলে লবণই সমস্ত ঋণ শোধ করবার জন্য যথেষ্ট ছিল।
ব্ইবেল বলে আমাদের মধ্যে লবণের স্বাদ, জ্রোতি এবং ঈশ্বরের বাক্য প্রয়োজন।এই পৃথিবীতে আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য ঈশ্বরকে গৌরব দেওয়া এবং তার সাক্ষ্য সারা পৃথিবীতে বহন করা, সুতরাং এই পৃথিবী জানবে এবং রক্ষা পাইবে।