মানুষের কাছে সুসমাচার নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে যীশু হলেন আমাদের আদর্শ এবং তিনি চান যেখানেই আমরা যাই, আমরা যেন লোকদের সুসমাচার জানাই। জিন ব্যাপ্টিস্টি সোয়াডোগো লিখিত এই ১৪৪ পৃষ্ঠার কোর্স, পাঠকদের সুসমাচার প্রচারের সত্যিকার ধরণ বৃঝতে সাহায্য করবে। এই কোর্সে উল্লিখিত নিয়মগুলো জানলে বিশ্বাসীরা আরও শক্তিশালীভাবে, যুক্তি সহকারে এবং সুষ্পষ্টভাবে তাদের চারপাশের লোকদের কাছে খ্রীষ্টের কথা প্রচার করতে পারবে।
আপনি যদি একটি বাড়ি তৈরি করতে চান, তাহলে প্রথমে কি করেন? কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার একটি পরিকল্পনা থাকা দরকার।
পূরাতন নিয়মে আমরা পড়েছি যে প্রশংসা করার জন্য ঈশ্বর লোকদের একটি দালান তৈরি করতে বলেছিলেন। তিনি তাদের একটি নকশা দিলেন। লোকেরা ঈশ্বরের কথামত কাজ করল এবং দালানের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হল এবং ঈশ্বরও খুশি হলেন।
আপনার কাজের প্রশিক্ষণের দিনগুলোর কথা সম্ভবত আপনি মনে করতে পারেন। আপনি একদিনে সব কিছু শিখেননি। আপনি যা শিখেছেন তা বার বার অনুশীলন করেছেন এবং অবশেষে ভালভাবে কাজ করার দক্ষতা অর্জন করেছেন।
খ্রীষ্টিয় পরিচর্যার ক্ষেত্রেও একই রকম। অন্যদের কাছে সুসমাচার প্রচার করতে যাওয়ার আগে অনেক কিছু শেখা প্রয়োজন। এই পাঠে আমরা শিখব খ্রীষ্টের জন্য আত্মা জয় করার জন্য কি কি ধরণের প্রস্তুতি দরকার।
আফ্রিকান একটি প্রবাদ আছে,” এক হাত কখনও দালান তৈরি করতে পারে না”, বাইবেল বলে, “তিনটি দড়ি একসঙ্গে পাকানো হলে সহজে ছেঁড়ে না”। (উপদেশক ৪:১২)
এসব প্রবাদ সত্য। দালান তৈরির জন্য অনেক হাতের দরকার। শুধু একজন রাজমিস্ত্রী সব কাজ করতে পারে না। খ্রীষ্ট বলেছেন, “আমি আমরা মন্ডলী গড়ে তুলব”। কিন্তু এই মহৎ কাজের জন্য আমাদের ডেকেছেন। এতে আমাদের প্রত্যেকের অংশ আছে।
আমরা কাজে নিয়োজিত হওয়ার প্রয়োজণীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন আমরা দেখব কিভাবে কাজে সম্পৃক্ত হওয়া যায়-খ্রীষ্ট আমাদের জন্য যা করেছেন তা অন্যদের কাছে বলে। কিভাবে এইসব সুসমাচার আমরা নিজেদের মধ্যে রাখব? আমাদের অবশ্যই অন্যদের কাছে বলা উচিত!
আমাদের আশেপাশে চাহিদা অনেক বেশি। লোকেরা খ্রীষ্টকে না জেনেই মারা যাচ্ছে। এই পাঠ, ব্যক্তিগত ভাবে সুসমাচার প্রচারের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে আপনার চোখ খুলে দেবে। সুতরাং সুখবর প্রচার করা শুরু করুন।
একটি প্রবাদ আছে, “প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম”। আমরা যত বেশি বাধা সম্পর্কে জানব তত সহজে এগুলো অতিক্রম করতে পারব। পূর্বের পাঠে আমরা সুসমাচার প্রচারের প্রয়োজনীয়তার বিষয় দেখেছি। এখন আমরা দেখব, সুসমাচারের প্রচারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা কিভাবে অতিক্রম করতে হয়। মনে রাখবেন, ঈশ্বর সাথে থাকলে যে কোন অসম্ভব ব্যাপার সম্ভব হয়ে যায়।
পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রকারের মানুষ রয়েছে। একদেশে যে কৌশল ফলপ্রসু অন্যদেশে তা কাজ নাও করতে পারে। অনেক সময় এক ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয়। ব্যক্তিগতভাবে সুসমাচার প্রচারের কৌশল বলতে, খ্রীষ্টের পক্ষে কোন লোককে জয় করার জন্য আপনি যে সব পদক্ষেপ নিবেন সেগুলোকে বোঝান হয়।
ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে কিছু গুরুত্বপুর্ণ সাংস্কৃতিক বাধা অতিক্রম করা যায়। আপনি যখন কৌশল নিয়ে পড়াশোনা করেন তখন ঐসব বিষয়ও মনের মধ্যে রাখুন।
আপনি কি এমন কোন রাস্তা বা বিল্ডিং এর নাম জানেন যা কোন ব্যক্তিকে সম্মান দেখানোর জণ্য ঐ নাম রাখা হয়েছে? তাদের অবদানের পুরষ্কার হিসেবে এরকম নাম রাখা হয়েছে। তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে কারণ তারা তাদের সমাজ বা লোকদের সাহায্যের জন্য বিশেষ অবদান রেখেছে।
এটি একটি মহৎ এবং অমূল্য পুরস্কার। এই সম্মানের সাথে কোন টাকার তুলনা চলে না। কিন্তু তারপরও এইসব পুরস্কার একদিন নি:শেষ হয় যাবে। কিন্তু ঈশ্বর যে পুরস্কার দিবেন তা অনন্তকালের জন্য এবং কোনদিনও নি:শেষ হবে না।