যীশুর বিষয়ে শিক্ষা এবং তাকে যাচাই করার জন্য পবিত্র বাইবেল রয়েছে।এই কোর্সটি লিখেছেন এলটন জি,হিল এবং সংকলন করেছেন লুইস, জেটার ওয়াকার, যীশু খ্রীষ্টের জন্মের শুরু থেকেই স্পষ্টভাবে তাঁর জীবন সম্বন্ধে তিনি যে দ্বিতীয়বার আবার আসবেন সে সম্বন্ধে ভাববাণী করেছিলেন। এই কোর্সের শেষ দিকে পাঠকদের জন্য ব্যক্তিগতভাবে যীশুর সাথে সম্মুখীন হবার আমন্ত্রণ রয়েছে।
আমি কি আপনাকে একটি প্রশ্ন করতে পারি? যীশু কে, এ বিষয়ে আপনার মতামত কি? অনেকে বলে,তিনি একজন মহান শিক্ষক ছিলেন। আবার কেউ বলে তিনি ভাববাদী, দার্শনিক, পাশ্চাত্য দেশের দেবতা, অথবা এমন একজন সৎলোক, যাঁর দৃষ্টান্ত আমাদের অনুসরণ করা উচিত।
যীশু একজন মহান শিক্ষক ও ভাববাদী ছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি তার চেয়েও বেশী ছিলেন। তিনি একজন দার্শনিক বা আমাদের জন্য একটি দৃষ্টান্তের চেয়েও বেশী ছিলেন। এই পাঠে আমরা যীশুর বিষয়ে আরও বেশী কিছু জানতে পারবো।
প্রতিজ্ঞা আমাদের বেচে থাকার একটি অংশ। আমাদের প্রত্যেকের প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কিছু কিছু সময় আমাদেরকে খুব বেশী সময় অপেক্ষা করতে হয়। এবং কিছু সময় আমরা হতাশ হয়ে পড়ি।
ঈশ্বরও প্রতিজ্ঞা করেন। যীশুর জন্মের অনেক বছর আগে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যীশু আসবেন। তিনি ভাববাদীদের মাধ্যমে বলেছিলেন তিনি কি করবেন, তাঁর সম্পন্ধে বর্ণনা করেছিলেন।
কিছু বিষয়ে ঈশ্বর সহজেই অন্যদের থেকে বুঝতে পারেন। উদাহরণস্বরুপ, আমরা খুব বেশি কঠিনতার মধ্যে না গিয়ে বুঝতে ঈশ্বর আমাদের পিতা হিসেবে কেমন! আমরা দেখেছি যে একজন ভাল পিতা তার পুত্রদের রক্ষা করেন এবং তাদেরকে ভালবাসেন।
আবার কিছু বিষয় ঈশ্বর আমাদের সহজে বুঝতে দেন না। তার মধ্যে একটি বিষয় হচ্ছে ‘ঈশ্বর’ যা কিনা আমাদের বুঝা কষ্টসাধ্য এই পাঠের বিষয় হচ্ছে যীশু ঈশ্বরের পুত্র।
এই জগতে যীশু-খ্রীষ্টই অদ্বিতীয় ব্যক্তি। তাঁর মত আর কেউ নেই, তিনি ঈশ্বর এবং মানুষ উভয়ই। যা কিনা বাইবেল আমাদেরকে শিক্ষা দেয়।
কিন্তু যীশু-খ্রীষ্ট কেন মানুষরুপে আসলেন? তিনি একজন ধনী ব্যক্তি হিসেবে কি করেছিলেন তাঁর সুন্দর প্রাসাদ ছেড়ে এবং তাঁর সবকিছু নিতান্ত দরিদ্র অবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। যিনি ছিলেন একজন ক্ষমতা সম্পন্ন রাজা সকলকে ছেড়ে এসেছিলেন যাকে কিনা সম্মান ও সমাদর করা তা না করে তাকেঁ ঘৃণা এবং হেয় জ্ঞান করা হল।
আপনি কি মনে করতে পারেন বলার অক্ষমতা এটা কি ধরনের হতে পারে? অন্যের সাথে যোগাযোগ রাখার কোন পথ নেই? এতে বিচ্ছিন্নকরণ এবং ব্যর্থতা কি ভীষনই না ।
আমাদের যোগাযোগের ক্ষমতা ঈশ্বর থেকে এসেছে যিনি কিনা আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তিনি চান যেন আমরা তাঁর সম্বন্ধে জানি। ঈশ্বর আমাদেরকে জানাতে চান তিনিই সকল কিছুর শুরু এবং শেষ।
আপনি কি কখনও অন্ধকার দিয়ে হেটেছেন এবং আলো পাবার ইচ্ছা পোষণ করার সাথে সাথে আলো দেখতে পেয়েছেন? আপনি হয়ত জানেন না ওপাশে আপনার কি বিপদ রয়েছে। আপনি হয়ত খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কেন বাইবেলে প্রায়্ই অন্ধকারের কথা ব্যবহার করেছেন যা শয়তানের একটি চিহ্ন, ভুল ক্রুটি, অনিশ্চয়তা, সমস্যা এবং মৃত্যু। এই ধরনের বিষয় গুলো আমাদের ভয়ের কারণ এবং হতবুদ্ধি করে।
আপনি হয়ত পূবেই যীশু সম্বন্ধে অনেক কিছু পড়েছেন। আপনি হয়ত জেনেছেন তিনি্ হচ্ছেন মনুষ্যপুত্র, একমাত্র ঈশ্বরের পুত্র, ঈশ্বরের বাক্য, প্রতিশ্রুত ব্যক্তি এবং এই জগতের আলো। এই শিরোনামটি সত্যিকারভাবে তিনি কে তার গুরুত্ব প্রকাশ করেছে। এই বিষয়গুলো খেয়াল করলে দেখতে পারবো তিনি আমাদেরকে বুঝানোর জন্য কি করেছেন, তিনি আসলে কে! এই পাঠে আমরা তাঁর দুটি কাজ পরীক্ষা করে দেখব: যীশু আমাদের দেহ এবং আত্মা নীরোগ রাখেন এবং যীশু আমাদেরকে পবিত্র আত্মায় বাপ্তিস্ম দান করেন।
আপনি হয়ত জেনেছেন যে যীশু আমাদের নীরোগ রাখেন এবং পবিত্র আত্মায় বাপ্তাইজিত করেন। কিন্তু সকল কাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজ বাকী ছিল তিনি সেটা করেছেন: তাহল যীশু উদ্ধারকর্ত্তা। বাইবেল বলে, “যারা হারিয়ে গেছে, তাদের খোঁজ করতে ও উদ্ধার করতে এসেছেন। খ্রীষ্ট ধর্মের সুখবর হল: মানুষের পরিত্রাণ। অন্যান্য ধর্ম জীবনের সুউচ্চ আদর্শগুলি তুলে ধরতে চায়। কিন্তু তারা অনুসারীদেরকে পাপের উপর বিজয়ী জীবন যাপনের শক্তি দেয়না।
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে মৃত্যু একেবারে পথের শেষ সীমানায় এসে দাড়িয়েছে যা নিশ্চিত, পরিহার করা যায় না, এবং চরম পর্যায়ে। ধনী-গরীব অবশ্যই কোন একদিন একপ্রকারে সম্মুখে হবে। বেশীর ভাগ লোকের জন্য, মৃত্যুর চিন্তা ভীষণ ভয়ানক হবে। কিন্তু যে যীশু-খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করবে, তাদের জন্য বেশ পার্থক্য রয়েছে। তাদের মৃত্যুকে ভয় করার কোন প্রয়োজন নেই। কেন? কারণ তারা তাদের বিশ্বাস একজনের উপর রেখেছে যিনি পুনরুত্থান ও জীবন।
সমাজের কিছু লোক রয়েছে যারা অন্যদের উপরে কতৃত্ব করে থাকে। যীশুর জন্মের সময় সমাজের কোন পার্থক্য ছিল না। রোম সাম্রাজ্য খ্রীষ্টিয়ানদের দ্বারা পরাভুত করা হয়নি। যীশু-খ্রীষ্ট স্বর্গে ফিরে গেলেন, এবং আজকের জগতে সর্বাধিনায়ক, স্বেচ্ছাচারী এবং অত্যাচারী উৎপীড়ক ভরে গিয়েছে। ঈশ্বর তিনি কেমন? তাঁর কি ধরনের ক্ষমতা ছিল? তিনি কখন সম্পর্নরুপে সবকিছুর উপরে শাসন কার্য করবেন? এই সকল প্রশ্নের উত্তর এই পাঠে খুজেঁ পাবেন।