লেখক জোস্,আর, সিলভা ডেলগেডো আমাদের দেখিয়েছেন কিভাবে একজন বিশ্বস্ত ধনাধ্যক্ষ হওয়া যায়। একটি রুপাক্তক গল্পে, যীশু দুজন ভাল ধনাধ্যক্ষকে প্রশংসা করে বলেছিলেন একজন তার সম্পদ বুদ্ধিমত্তার সহিত পরিচালনা করে এবং অন্য ব্যক্তিকে দায়ী করে, তাকে যা দেওয়া হয়েছিল সে তা দিয়ে কিছুই করেনি। এই কোর্সে আমরা শিখতে পারবো কিভাবে পরিচালনা এবং পরিশোভিত করা যায়, যা কিনা ঈশ্বর আমাদের কাছে প্রত্যাশা করেন, হয়তবা তিনি একদিন বলবেন, “বেশ, উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস, এস এবং প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।“(মথি ২৫;২৩)পদ।

এই পাঠে আমরা একটি সত্য বিষয় শিখবো তাহল এ জগতে আমরা যা কিছু নিজের মনে করি এসবের মালিক কিন্তু আপনি নন, কারণ ঈশ্বর হচ্ছেন সব কিছুর মালিক। যখনই আপনার মধ্যে এ বিশ্বাসের জন্ম নিবে তখনি আপনি আপনার জীবনের উদ্দেশ্য ও পরিচর্যাকার্য ভালভাবে বুঝতে পারবেন।

পাঠটি পড়লে আরও জানতে পারবেন যে ধনাধ্যক্ষতা কেবলমাত্র জীবনের একটা বিশেষ সময়ের জন্য নয়। সারা জীবন ধরেই মানুষ ঈশ্বরের ধনাধ্যক্ষ হিসাবে কাজ করে যাবে।

ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে জীবন পরিচালনা করতে এ পাঠটি বিশেষ ভাবে সাহায্য করতে পারবে মনে করেই এটি তৈরি করা হয়েছে। এ পাঠটির প্রথম অংশে আমাদের জীবনে ঈশ্বরের পরিকল্পনা সম্পর্কে, আর দ্বিতীয় অংশে তাঁর পরিকল্পনায় আমাদের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

বিশ্বস্ততার সাথে ঈশ্বরের দেওয়া বিষয়-আসয় রক্ষণাবেক্ষণ করা হল তাঁর পরিচর্যাকারী হিসাবে আমাদের এক মহান ও অবশ্যকরণীয় দায়িত্ব। একইভাবে, যে পর্যন্ত আমরা খ্রীষ্টের মত না হয়ে উঠি, সে পর্যন্ত আমাদের ব্যক্তিত্বের যত্ন নেওয়া ও উন্নতি সাধন করাও আমাদের আর একটি দায়িত্ব।

এই পাঠ জানতে পারবো দেহের যত্ন নেওয়া আর একটি অবশ্য করণীয় দায়িত্ব। সোজা কথায় আমরা আমাদের দেহের ধনাধ্যক্ষ। এই পাঠটি দেওয়ার একটি বিশেষ উদ্দেশ্য, আমাদের দেহের ধনাধ্যক্ষতার কাজে অনুশীলন করতে সাহায্য করা। আমরা জানতে পারবো কিভাবে দেহকে ভাল রাখা যায় এবং বাইরের লোকদের সামনে তা দৃষ্টান্ত স্বরুপ করা যায়।

এই পাঠে প্রথমত: আলোচনা করা হয়েছে, কিভাবে আমরা ‘সময়ের’ সদ্ব্যবহার করতে পারবো। আমাদের সামর্থের বিষয়ে জানতে পারবো, এর উন্নতিসাধন করতে পারবো ও ঈশ্বরের গৌরবার্থে ব্যবহার করতে পারবো।

এই পাঠে আমাদের অর্থ-সম্পদের সাথে যে নীতিমালা রয়েছে যা কিনা আপনাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করবে। আপনার ধারণা এবং কৌশল যা কিনা আপনার দায়িত্ব পালনে সাহায্য করবে।

খ্রীষ্টিয়ান হিসেবে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে যে, কিভাবে আমরা আমাদের ঘর-সংসারের উত্তম ধনাধ্যক্ষ হতে পারি। আপনি শিখতে পারবেন কিভাবে ঘর-সংসার, ঈশ্বর যেমন চান, তেমনভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।

এই পাঠের কতগুলো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কিভাবে আমাদের উপর ঈশ্বরের নিরুপিত এই মহান কাজটি সম্পন্ন করবার জন্য আমরা মন্ডলীর অন্যান্য সদস্যদের উৎসাহিত করতে পারি। তারপর কতকগুলো উপায় রয়েছে কিভাবে আমরা মন্ডলীর আর্থিক উন্নতি সাধন করতে পারি, যাতে ঈশ্বরের নিরুপিত এই মহান কাজটি যথাসময়ে সুসম্পন্ন হতে পারে।

এই পাঠটি আমাদের জন্য খুবই উপযোগী হবে, একজন উপযুক্ত ধনাধ্যক্ষের মত সমাজ বা দেশের আদর্শ নাগরিকের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তস্বরুপ হতে পারবেন।