এই পাঠে বাইবেলের প্রধান প্রধান মতবাদ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এবং যেসব বিষয় প্রত্যেক খ্রীষ্টিয়ানদের জানা প্রয়োজন, যা ঈশ্বরের প্রকৃতি এবং যীশুর চরিত্র এবং বিশ্বাসীদের জীবন দ্বারা দেখা যায়, সেসব বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। জুডি বারটেল লিখিত এই ১৭০ পৃষ্ঠার কোর্সে পবিত্র বাক্যের ১৬টি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ সত্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এবং বর্তমানের খ্রীষ্টিয়ানদের জন্য সেগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। বাইবেল পাপ, পরিত্রাণ, পবিত্র-আত্মা এবং ভবিষ্যত সম্পর্কে কি বলে তা জানার মাধ্যমে খ্রীষ্টিয় পরিপক্বতা বৃদ্বি পাবে।
স্থলে বাস করেও অনেক মানুষ মনে করে যে তারা ঝড়ের সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে। আমি কোথায় যাচ্ছি? আমি কি হারিয়ে যাচ্ছি? আমি কি কখনও সঠিক পথ খুজেঁ পাব? ঈশ্বর আমাদের আর্তনাদ শুনেছেন এবং আমাদের জীবন পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে একটি বই দিয়েছেন।
উত্তর খোঁজার আগে আসুন সবাই মিলে এই মহৎ বইটি দেখি। আমরা দেখব কিভাবে এটি লেখা হয়েছিল এবং আমাদের কাছে দেয়া হয়েছিল।
এক দিক থেকে, ঈশ্বরকে ঝড়ের সাথে তুলনা করা যায়। অনেক লোক তাকেঁ ভয় করে এবং অনেকে তাকে ভালবাসে- এগুলো নির্ভর করে তাদেরকে তাঁর সম্পর্কে কি বলা হয়েছে এবং তারা এ সম্পর্কে কি করে।
আমরা ঈশ্বরকে দেখতে পাই না, কিন্তু তিনি যা করেন তা দেখতে পাই। ১ম পাঠে আমরা জেনেছি যে বাইবেল আমাদের ঈশ্বর সম্পর্কে –তাঁর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এবং তিনি কিভাবে মানবজাতির সাথে যোগাযোগ করেন সে সম্পর্কে ধারণা দেয়। এই পাঠে আমরা বাইবেলের বিষয় দেখব এবং এতে ঈশ্বর সম্পর্কে যা বলা আছে তার কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
আমরা পিনোকীয়-এর গল্প একটি উপকথা হিসেবে জানি, কিন্তু এর মাধ্যমে, ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করার সময় কেমন অনুভব করেছিলেন তার কিছুটা চিত্র আমরা বুঝতে পারি। তিনি তাকে সুন্দর এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করে, তার নিজের মত করে চলার ক্ষমতা দিয়ে তৈরি করেছেন।
ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু কোন কাঠ দিয়ে না। তাহলে তিনি কিভাবে সৃষ্টি করেছেন? তিনি মানুষকে কি কি বৈশিষ্ট্য দিয়েছেন? আসুন দেখি ঈশ্বর মানুষকে কিভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং কি কি দায়িত্ব দিয়েছেন।
ঈশ্বর আদম ও হবাকে একটি সুন্দর বাগানে রাখলেন এবং সবকিছুর উপর কর্ত্তৃত্ব করার অধিকার দিলেন। তিনি তাদের, একটি বাদে সব গাছের ফল খাওয়ার অনুমতি দিলেন। ঘটনাক্রমে শয়তান আসল এবং তাদের ঐ গাছের ফল খেতে বলল। তারা ঈশ্বরের কথার পরিবর্তে শয়তানের কথা বিশ্বাস করল। মানুষকে নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু অবাধ্যতার মাধ্যমে পাপ তার মধ্যে প্রবেশ করল। কিভাবে আমরা পাপের সংজ্ঞা দিতে পারি? পাপের শাষ্তি কি? এর থেকে মুক্তির কোন উপায় আছে কি? এই পাঠে এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়া আছে।
একদিন এক বন্ধু আমাকে অনেকগুলো প্রশ্ন করেছিল। যীশু কে? কিভাবে তিনি একই সাথে মানুষ ও স্বর্গীয় হতে পারেন? যদি তিনি মারা গিয়ে থাকেন, তাহলে খ্রীষ্টিয়ানরা কিভাবে বলে তিনি জীবিত? এখন তিনি কি করছেন?
ঈশ্বরের আত্মা শুধু একদেশ থেকে অনুভব করা যায় না, কিংবা একটি জাতির পরিচর্যার জন্য না- বরং সমগ্র পৃথিবীর জন্য। পঞ্চাশত্তমীর দিন পিতর একা কমপক্ষে ১৫টি ভিন্ন ভাষার লোকদের সামনে কথা বলেছিলেন। ৬ষ্ঠ পাঠে আমরা পরিত্রাণ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি কি জানেন পবিত্র-আত্মার কাজের দ্বারাই আমাদের পরিত্রাণের কাছে আনা হয়েছে? আসুন আমরা পবিত্র-আত্মা এবং আমাদের মাঝে তাঁর কাজ নিয়ে আলোচনা করি।
ঈশ্বরের আত্মা শুধু একদেশ থেকে অনুভব করা যায় না, কিংবা একটি জাতির পরিচর্যার জন্য না- বরং সমগ্র পৃথিবীর জন্য। পঞ্চাশত্তমীর দিন পিতর একা কমপক্ষে ১৫টি ভিন্ন ভাষার লোকদের সামনে কথা বলেছিলেন। ৬ষ্ঠ পাঠে আমরা পরিত্রাণ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি কি জানেন পবিত্র-আত্মার কাজের দ্বারাই আমাদের পরিত্রাণের কাছে আনা হয়েছে? আসুন আমরা পবিত্র-আত্মা এবং আমাদের মাঝে তাঁর কাজ নিয়ে আলোচনা করি।
বৃহত্তর দৃষ্টিতে মন্ডলীই এর বিশ্বাসীদের গড়ে তোলে। একে বলা হয় খ্রীষ্টের দেহ। ঈশ্বর আত্মারুপে এসব বিশ্বাসীদের মাঝে বাস করেন। ৭ম পাঠে আমরা পবিত্র-আত্মা এবং তাঁর কিছু কাজ নিয়ে আলোচনা করেছি। সেসব কাজের মধ্যে আমরা উল্লেখ করিনি যে তিনি বিশ্বাসীদের একত্রিত করেন। এই পাঠে আমরা আলোচনা করব মন্ডলী কি, এর কি কি করা উচিত, এবং এখানে কি কি ঘটতে যাচ্ছে। এবং যথারীতি বাইবেল থেকে আমরা সঠিক উত্তর জানতে পারব।
সত্যিকার ভবিষ্যদবাণীর একমাত্র উৎস হল বাইবেল। আমরা যা জানতে চাই ঈশ্বর তাঁর এই বাক্যের মাধ্যমে আমাদের সবকিছু জানান। চায়ের পাতা বা ট্যারট কার্ড সম্পর্কে পড়ার কোন দরকার নেই কারণ ঈশ্বর এসব যাদুবিদ্যা নিষিদ্ধ করেছেন।
সত্যিকার ভবিষ্যদবাণীর একমাত্র উৎস হল বাইবেল। আমরা যা জানতে চাই ঈশ্বর তাঁর এই বাক্যের মাধ্যমে আমাদের সবকিছু জানান। চায়ের পাতা বা ট্যারট কার্ড সম্পর্কে পড়ার কোন দরকার নেই কারণ ঈশ্বর এসব যাদুবিদ্যা নিষিদ্ধ করেছেন।
আপনার ভবিষ্যৎ এবং যখন যীশু আসবেন তখন আপনার কি হবে- তা নিয়ে আপনি হয়তো খুবই চিন্তিত। তাহলে আপনাকে এই পাঠটি পড়তে হবে। এতে আমরা ভবিষ্যৎ বিচার এবং যীশুর পুণরাগমন সম্পর্কে আলোচনা করব।
ঈশ্বরের প্রতি আমাদের ভালবাসা দেখানোর উপায় একটি উপায় হল অন্যদের ভালবাসা ও সাহায্য করা। আসুন দেখি অন্যান্যদের সাথে আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে ঈশ্বরের বাক্য কি বলে। এই পাঠে আমারা আলোচনা করব, আমাদের সম্পর্ক: আমাদের উপরে যারা আছেন তাদের সাথে, আমাদের আশেপাশে যারা আছেন তাদের সাথে, এবং আমাদের বিপক্ষে যারা আছেন তাদের সাথে।
মানুষ শক্তিশালী খ্রীষ্টিয়ান হিসেবে জন্মগ্রহণ করে না, বরং বছরের পর বছর ধরে তারা ঈশ্বরকে নিজেদের জীবনে কাজ করার সুযোগ দেয় এবং নিজেদেরকে শক্তিশালী খ্রীষ্টিয়ান হিসেবে গড়ে তোলে। বড় বড় গাছের মত তারা নিজেদের মূল মাটির গভীরে নিয়ে যায় যেন বাতাস তাদের কাবু করতে না পারে।
আপনি কি একজন ভাল ব্যক্তি হতে চান, যিনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন এবং সব অবস্থায় তার উপর দৃঢ় আস্থা রাখেন? আমরা ইতিমদধ্যে যেসব বিষয় জেনেছি সেগুলো কাজে লাগাতে পারি এবং বড় গাছের মত নিজেদের শক্তিশালী করতে পারি।
যীশু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যখন তিনি তাঁর পিতার কাছে যাবেন, তিনি আমাদের জন্য এক সহায়- পবিত্র-আত্মাকে পাঠিয়ে দেবেন। পবিত্র-আত্মার অবতরণের এই ঘটনা ঘটেছিল পঞ্চাশত্তমীর দিন। প্রেরিত ২ অধ্যায়ে এই ঘটনার বর্ণনা দেয়া আছে। তখণ থেকে প্রত্যেক বিশ্বাসী আত্মায় পরিপূর্ণ জীবন যাপনের সুযোগ লাভ করে।
এই পাঠে আমরা আলোচনা করব- আত্মায় পরিপূর্ণ জীবন যাপনের অর্থ কি। এছাড়া পবিত্র-আত্মায় পরিপূর্ণ হলে আমরা যেসব উপহার লাভ করি যেসব বিষয়ে নিয়েও আমরা আলোচনা করব।